ভাগ্যদোষ

ভালোবাসা তো তাকেই বলে,,,😞



ভাগ্যদোষে হইলাম এতিম
আছেন শুধু মাতা,
রোধ লাগতে দেননা গায়ে
তিনিই আমার ছাতা ।

বটগাছ ছিলো অনেক আগে
এখনতো আর নেই,
ছায়া হয়ে থাকতেন কাছে
ভালোবাসতেন সেই ।

বটগাছ হঠাৎ মারা গেল
খাওয়াতো অনেক ফল,
সেই শোখে এখনও আমার
চোখে আসে জল ।

সাহিত্য চর্চা করে যদি
মনে শান্তি পাই,
তাহলেতো অনেক বেশি
কবিতা লিখতে চাই ।

সেই যেদিন দেখে ছিলাম
শেষবারের মতো,
দূঃখগুলো বেরিয়ে আসে
সাথে কান্নাগুলো কত ।

বলেছিলাম চাপা গলায়
"কোথায় গেছ তুমি",
ফেলে গেছ আমাকে আর
প্রিয় জন্মভূমি ।

কতকাল দেখিনা তুমায়
দেখতে ইচ্ছে করে,
তুমি নেই বলে আমার সব সুখ
উড়ে গেছে ঝড়ে ।

তুমার কথা ভাবি যখন
দুঃখ পিছু করে,
ছবিটা তখন বুকে নিয়ে
শান্তি মন জুড়ে ।

বলতে তুমি "কিসের অভাব
যা পারিস তা কিন",
হাসি খুশিতে ভরে উঠত
সেই প্রতিটা দিন ।

তুমি যখন করতে আমায়
আদর বুক ভরে,
তখন তুমার আদর খেতাম
বসে চুপটি করে ।

সময় থাকতে কেন ফিরাতে পারিনি
সেই আদরগুলি,
কান্না পেলে কান্না মুছার
শুধুই ছিলে তুমি ।

সত্যি বলতে অতিথ ভবিষ্যত
দুটোই মরিছিকা,
ভাগ্য থাকলে বর্তমান ভেবে
নিজেকে কর প্রতিষ্ঠা ।

রাত যত গভীর হোক না কেন
একদিন সকাল আসে,
সেদিন মানুষ না আমি নিজেই
থাকবো মানুষের পাশে ।

যা হওয়ার তা হয়েই গেছে
কি আর করবো ভাই,
সেই গভীর রাতে বাবাকে হারানোর গল্প
আমি ভুলে যেতে চাই ।

কোনো কিছুর অভাব নাইরে
অভাব বাবার আদর,
ঠান্ডা যেন না লাগে ভাই
শরীরে দিতেন চাদর ।

কত রঙের মানুষ ভবে
কত রঙের ছল,
ভাগ্যদোষে হায়রে হায়
অর্ধেক মানুষই পাগল ।

কারোও আবার দুঃখ কম
কারো দুঃখ বেশি,
তা নিয়েইতো সবসময়
চলছে রেশা-রেশি ।

দুঃখগুলোকে কি আর করি
সোনার খাঁচায় ভরি,
একদিন না একদিন যাবে
এই দুঃখগুলি মরি ।

মানুষকে নিয়ে কি আর ভাববো
নিজেরই নাই হুষ,
হাসতে হাসতে কেঁদেফেলি
সবই ভাগ্যদোষ ।

2 মন্তব্যসমূহ

কোন মন্তব্য থাকলে নির্ধিদায় লিখতে পারো

নবীনতর পূর্বতন