নিয়মিত রাত জেগে পড়লে মেধা, স্মৃতিশক্তি বা স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পরে?

মা ছোটবেলায় বলতো “দেখ, পাশের বাড়ির কৌশিক রাত তিনটে অব্দি পড়াশোনা করে। আর তুই 10:00 টা বাজতে না বাজতেই ঘুমিয়ে পড়িস।” কিন্তু ঘুমকে কি আর আটকানো যায় বলুন তো।😅

যাইহোক, আমরা দুই ধরনের পড়ুয়া দেখতে পাই।প্রথমত, যারা রাত জেগে পড়ে এবং দ্বিতীয়ত, যারা পড়ার জন্য ভোরবেলা ওঠে। যেহেতু প্রশ্নে রাত জেগে পড়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে তাই আজ শুধু এটাই বলব।

রাত জেগে পড়ার সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। যেহেতু রাতে শুধু কুকুরের আওয়াজ আর ঘড়ির কাঁটা ছাড়া কোন শব্দ ব্যাঘাত ঘটায় না তাই যারা রাত জাগা পড়ুয়া তারা পড়াশোনায় ডুবে যেতে বেশি সময় লাগে না। University of Notre Dame এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী রাতে পড়া কোন জিনিস ভালো মনে থাকে সারাদিন। আর পরের দিন সকালে উঠে যদি পরীক্ষা থাকে তবে তার টেনশন থেকে রাতেই মুক্ত হয়ে নেওয়া ভাল নয় কি। তাই রাতে যারা পড়ে তাদের পরীক্ষার টেনশন কম থাকে।

তবে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে রাতের পড়ুয়াদের কোন তথ্য স্বল্পকালের জন্য মনে থাকে। আর বেশি রাত জাগলে আমাদের মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতাও কমতে থাকে। রাতে দেরিতে ঘুমানোর জন্য পরের দিন সারা দিন একটা ক্লান্তি কাজ করে। কোনো কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হয়। আর যেহেতু ঘুম সবথেকে প্রয়োজনীয় তাই ঘুমের ঘাটতি মানেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি।

তাই আপনি রাতে জেগে পড়ুন বা ভোরবেলা উঠুন, ঘুমের সাথে আপনার রাতে কমপক্ষে 7-8 ঘণ্টা সময় কাটাতেই হবে। এবার আপনি ভেবে দেখুন রাতের পেঁচা দের সাথে বন্ধুত্ব করবেন নাকি ভোরের মোরগের সাথে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কোন মন্তব্য থাকলে নির্ধিদায় লিখতে পারো

নবীনতর পূর্বতন