কী তোমার নাম?


কবিতা কী তোমার পরিচয়?
কী তোমার প্রকৃত নাম?
ছন্দে ছন্দে ঘুরে বেড়াও,
তুমি কত কবির সুনাম।
কবিতা!
তুমি সত্যিই বেমানান!
যখন যার তখন তার কী তোমার ঠিকানা?
কখনো বা তুমি রবি ঠাকুরের কাব্য গীতাঞ্জলী,
কখনো বা তুমি নজরুলের সেই জ্বলন্ত বিদ্রোহী।
কখনো বা তুমি জসীমউদ্দিনের মায়াবী সেই কবর,
আবার তুমি বনলতা নামে অসীম আবেগি প্রহর।
তুমি কখনো ছন্দে দেখানো অনুভূতি অনুরাগ,
কখনো বা তুমি মিষ্টি প্রেমিক ভালোবাসার সম্রাট।
কবিতা!
তুমি খুবই আবেগধর্মী!
কত কবি কলমে খাতায় তোমাকেই শুধু লিখে,
শত কবির আবেগ প্রকাশ পেয়েছে তোমারি ছন্দ দিয়ে।
কত কবি দিয়েছে প্রেমের প্রস্তাব তোমারি নাম নিয়ে,
কখনো তুমি কবির চোখ ভরা জল লিখ ছন্দ দিয়ে।
কবিতা!
তুমি সত্যিই দুষ্টু!
বলতে বলতে এখনো তোমার দাওনি পরিচয়টি,
তুমি কী বোঝোনা কত কবির মনে তুমি সেই প্রশ্নটি।
অপেক্ষায়মান হয়ে বসে আছে কত আবেগি স্রোতা,
দুষ্টু হাসি অনেক হেসেছো দাও পরিচয়খানা।
নিস্তব্দতা ভেঙ্গে তুমি বলিলে কিছু কথা,
মনে হলো তুমি বলেই যাচ্ছ অর্ধেক সারাবেলা।
তোমার অসাধারণ কন্ঠ আমার লাগলো মধুর যে,
মিষ্টি হেঁসে তুমি তোমার আংশিক পরিচয় দিলে আমাকে।
বললে তুমি!
“তুমিই বলো কোন পরিচয় দিবো?
যে নামে ডাকবে আমায় সেই নামে হয়ে যাবো।
আমি তোমার কত লিখার আবেগি কবিতাখানা,
তোমার আমি মিষ্টি অভিযোগ কবিতা বেমানান।
আমি তোমার সেই রুপ যাকে ভালোবাসো তুমি বেশি,
তোমার আমি নোটবুকের সেই ছন্দ ছন্দ লিপি।
হতে পারে আমি তোমার বাবার হারিয়ে যাওয়া আদর,
হতে পারি তোমার আমি জড়ানো ভোর রাতের চাদর।
হতে পারি আমি তোমার বন্ধুদের জমানো কথা,
হতে পারি তোমার হারানো বন্ধুদের অল্প অল্প ব্যথা।
ঠিকানা জানতে চাও!
আমার ঠিকানা কত কবির হৃদপিন্ডের লাল রক্ত,
আমার ঠিকানা স্রিষ্টিকর্তার কোটি কোটি সেই ভক্ত।
আমার ঠিকানা কত হৃদয়ের পবিত্র ভালোবাসা,
আমার ঠিকানা মায়ের কোলে শোয়া অদ্ভুত ভালো লাগা।“
নিস্তব্ধ আমি পরিচয় শুনে সিক্ত হলো প্রাণ,
এভাবেই যেন গেয়ে যেতে পারি তোমার জয়গান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কোন মন্তব্য থাকলে নির্ধিদায় লিখতে পারো

নবীনতর পূর্বতন